কনক বড়ুয়া, উখিয়া: 
উখিয়ার হলদিয়া পালংয়ের মরিচ্যা বৌদ্ধ শ্মশানে যাতায়াতের গ্রাম্য রাস্তা জবর দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিনের নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুর উদ্দিন মোহাম্মদ শীবলি নোমান, সাব ইনসপেক্টর আনিসুল ইসলাম ও সহকারী ইনসপেক্টর ওয়ারেছ পরিস্থিতি সমঝোতায় এনে নির্মাণ চলাকালীন বৌদ্ধ শ্মশান রাস্তা অন্যের দখল থেকে দখলমুক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুমি অফিসের কানংগ মিলন কান্তি চাকমা, ইদ্রিস আজাদ, হলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এম মনজুর আলম, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইসলাম, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সহ গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিগণ।
কিছুদিন যাবৎ ভূমিদস্যুর দখলে থাকা এই রাস্তার দখলমুক্ত করার পেছনে যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে তারা হলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন, কক্সবাজার পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, উখিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হলদিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক জেমসেন বড়ুয়া, হলদিয়ার ইউপি সদস্য মনজুর আলম সহ আরো ধর্মীয় গুরু এবং গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দ। অবশেষে এই বৌদ্ধ শ্মশান রাস্তা দখলমুক্ত হওয়াতে নেতৃবৃন্দদের প্রতি মরিচ্যা এবং হিরারদ্বীপের বড়ুয়াবাসী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বাবুল সওদাগর বলেন, উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা বড়ুয়া পাড়া, দক্ষিণ মরিচ্যা বড়ুয়া সহ খুনিয়া পালং ইউনিয়নের হিরারদ্বীপ গ্রামের প্রায় ৬০০ বড়ুয়া পরিবারের বৌদ্ধ শ্মশান এটি। এছাড়াও উক্ত শ্মশানের একমাত্র যাতায়াত রাস্তা এটি।
বৌদ্ধ সমাজের ধার্মিক উপাসক নিবেদন বড়ুয়া জানান, উখিয়ার ইউএনও এবং প্রসাশনের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়তের রাস্তা দখল করে রাস্তার উপর বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করলে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় একটি টিম এসে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তা দখলকারীদের বাউন্ডারি ভাঙ্গার নির্দেশ দেন।
সমাজকর্মী অমিতাবু বড়ুয়া ও মনোরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, শ্মশানের পবিত্রতা ও সৌন্দর্য্য রক্ষা করার জন্য রাস্তা নির্মাণ কাজে আমাদের কে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শত বছরের পুরাতন যাতায়তের রাস্তা জবর দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করায় আমরা জনস্বার্থে বাধা প্রদান করেছি ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি। জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে বঙ্গীয় বৌদ্ধ সমাজের নেতৃবৃন্দদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শ্মশান রাস্তাটি দখলমুক্ত হয়েছে। পুনরায় কাজ শুরু হবে বলেও জানান।